শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক:
করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে সংক্রামণরোধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। শুক্রবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে পর্যটক ভ্রমনের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ করায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে হোটেল মোটেল গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কক্সবাজারে জরুরি প্রয়োজনে অতিথি থাকার নিষেধাজ্ঞায় বলা হয়েছে।
সারাদেশের মতো করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত আনতে শুরু করেছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এ কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের উপর ভ্রমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একারণে সকাল থেকে সমুদ্র সৈকতে কোন পর্যটক ভ্রমনে নামতে দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। একারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে শুরু করে সবখালে পর্যটন শুন্য হয়ে পড়েছে। আর পর্যটক না থাকায় সৈকতের দোকান-পাটও বন্ধ রয়েছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমনে আসলেও সমুদ্র সৈকতে নামতে না পেরে হতাশ। তবে সৈকত ভ্রমন করতে না পারলেও সরকারের এই মহৎ সিদ্ধান্ত সাধুবাদ জানিয়েছেন ভ্রমনে আসা পর্যটকরা।
ঢাকা মিরপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি সিরাজুল ইসলাম ও সায়রা ইসলাম বলেন, ‘ অনেক দূর থেকে কক্সবাজার ভ্রমনের জন্য এসেছি। কিন্তু, সৈকতে নামতে না পারার দু:খ ভুলতে পারছি না। অবশ্য, জাতীয় স্বার্থে সরকারের এই সিদ্ধান্ত যুগউপযোগী।’
মো: শফিকুল ইসলাম নামের এক পর্যটক জানান, ‘তিনি চট্টগ্রাম থেকে একদিন আগে পরিবার স্বজন নিয়ে কক্সবাজারে এসেছেন। কিন্তু, কক্সবাজার পৌছে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি জানতে পেরেছেন। অবশ্য, রাতেই ফিরে যাওয়ার কথা জানান তিনি।’
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার মিজানুজ্জামান জানান, করোনার সংক্রমনরোধে বিধি-নিষেধ আরোপ করার ফলে শুক্রবার সকাল থেকে কাজ করছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সৈকতের বিভিন্ন সড়কের প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে তল্লাশী চৌকি। পর্যটকদের সরিয়ে যেতে এবং করোনায় সচেতনতা বাড়াতে করা হচ্ছে মাইকিং।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ জানান, ‘দেশবিদেশ আসা পর্যটকদের কারণে কক্সবাজারে করোনার ঝুঁকি একটু বেশী। তাই, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ থেকে শুরু করে নানা সচেতনতামুলক প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু, এরপরও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভ্রমনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরো করা হয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার আশংকাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশনা পৌঁছায়। এতে কক্সবাজারের সকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভয়েস/আআ